দীর্ঘ খোঁজের পর, শনিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন সুশীল কুমার। আপাতত ১২ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সাগর ধনখড় মামলায় সুশীল অন্যতম অভিযুক্ত। শুধু তাই নয় এই ঘটনার পিছনে, দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগিরের প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যে কারণে হন্যে হয়ে খোঁজ চলছিল সুশীল কুমারের।
সাগর হত্যাকাণ্ড মামলায় সুশীল জড়িত, তা চাউর হওয়ার পরই অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন সুশীলের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছিল, ভারতবর্ষে সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট কী করে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করলেন? সুশীল পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর, ভারতের নানান ক্রীড়াবিদ নানা মন্তব্য করছেন। হকির অজিত পাল সিং, পেশাদার বক্সার বিজেন্দ্রর সিং, টেবল টেনিস তারকা শরথ কমল–একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন সুশীলের মত তারকার এই রকম ঘটনায় জড়ানো ঠিক হয়নি। অজিত পাল সিং যেমন বলেই দিচ্ছেন, “যে প্রেরণা হবেন অন্যের, তাঁকে অনেক সচেতন থাকতে হবে। সুশীল যেটা করেছে সেটা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।”
বিজেন্দ্রর সিংয়ের সঙ্গে বেজিংয়ে প্রথম অলিম্পিক পদক জিতেছিলেন সুশীল। দুজনের মধ্যে যথেষ্ট বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই সুশীলকে নিয়ে বিজেন্দ্রর বিতর্কিত মন্ত্যবে না গেলেও বলছেন, “ভারতীয় খেলাধূলার ইতিহাসে সুশীল যা করেছে, তার কোনও তুলনা হবে না। এ ছাড়া ওর অন্য বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করব না।” শরথ কমল অবশ্য অকপট, “সুশীল ভারতের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ও যেটা করেছে সেটা শুধু কুস্তি নয়, ভারতের ক্রীড়া জগতের মুখ পুড়বে।”
১২ দিনের জেল হেফাজতে সুশীলকে জেরার মুখে পড়তে হবে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যা তথ্য এসেছে, সেই অনুযায়ী ৫ মে-র ওই ঘটনার পিছনে সুশীলের যথেষ্ট ইন্ধন ছিল। দুই দল কুস্তিগিরের মারামারি ও পুরো ঘটনার সময় সুশীল নিজে হাজির ছিলেন। সিসিটিভ ফুটেজে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে আবার ধরা না দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাঁর। সব মিলিয়ে সুশীল কুমার এখন তীব্র চাপে।
Be the first to comment