‘ইয়াস’-এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রতি মুহূর্তে থাকতে হবে আপডেটেড আর কী করতে হবে বাংলা-ওড়িশাকে? শাহি-বৈঠকে সিদ্ধান্ত

Spread the love

ইয়াস মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্ত। সূত্র মতে, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও আন্দামান ও নিকোবারের এলজি-কে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কড়া নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

রাজ্যগুলিতে পাওয়ার ব্যাক আপ রাখার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ বিকল্প বিদ্যুৎ পরিষেবা সরবরাহের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।

পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে প্রায় ২৪ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে, তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

অক্সিজেন এবং করোনার ওষুধ-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ অতিরিক্ত মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখা চলা ও সেই মোতাবেক প্রস্তুত থাকা।

ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল ও বিদ্যুতের পুনঃসরবারহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল খালি করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে চাইছে কেন্দ্র। ঠিক কতটা প্রস্তুত রাজ্যগুলি, তা জানতেই এই বৈঠক করেন শাহ। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় দফতরের আধিকারিকরাও। ছিলেন টেলিকম ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা। বিপর্যয়ের আগেই যাতে সব প্রস্তুতি সেরে ফেলা যায় সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

খাবার, জল, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যাতে কোনও অভাব না হয়- সেই বিষয়গুলিকে প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে বৈঠকে। তবে সবচেয়ে উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে কোভিড সেন্টার, সেফ হোম ও হাসপাতালগুলির যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়। আরও ২০টি দল তৈরি রয়েছে। বাংলাদেশে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিএসএফ। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে ফোন করুন এই নম্বরগুলিতে ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*