ইয়াস শহর কলকাতার বুকে তেমন তাণ্ডব চালাতে পারেনি কিন্তু অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলা। দুই জেলার অসংখ্য বাসিন্দাদের ভিটে-মাটি ও মাথার ছাদ কেড়ে নিয়েছে জলের প্লাবন। এই পরিস্থিতিতে আর্ত এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে আগামী ৩ জুন থেকে ত্রাণ বিলির কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। তবে এ বারের ত্রাণ ঘরেই পৌঁছে যাবে। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুয়ারে ত্রাণ’। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, একদিনের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়-সহ টর্নেডোর জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার। সেই কারণে দ্রুত ত্রাণ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মনে রাখতে হবে, বছরখানেক আগে আমফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি-সহ বাকি বিরোধীরা। যে কারণে এ বার ত্রাণ বিলির বিষয়ে রাজ্য যে বিশেষ সতর্ক থাকতে চলেছে তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই কার্যত স্পষ্ট। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “অর্থ দফতরকে বলব, আমফানের সময় যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলোর অবস্থা কী তা খতিয়ে দেখতে হবে। জলে আমি এত টাকা ঢালবো না।”
অন্যদিকে, ইয়াসের ত্রাণ বিলি সম্পর্কে মমতা জানান, আপতত ১০০০ কোটির ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। “দুয়ারে সরকারের মতোই দুয়ারে ত্রাণ শুরু করা হবে। আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হবে দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ। কার কী ক্ষতি হয়েছে সেটা সরকারি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবে।” কেউ যদি বাড়িয়ে বলে ধরা পড়ে যাবে বলে সতর্ক করে দেন মমতা।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিপূরণের জন্য গ্রামে গ্রামে ও ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করা হবে। সেখানে গ্রামবাসীরা আবেদন করবেন। সেই আবেদন পত্র ২৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খতিয়ে দেখা হবে। তারপর ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সরাসরি প্রভাবিতদের ব্যাঙ্কেই ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment