১৩০ টির বেশি বাঁধ ভেঙে পড়ার জেরেই প্লাবিত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অসংখ্য গ্রাম। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়ানো শুরু করেছে বিজেপি। কেন এতগুলো বাঁধ ভাঙল তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানান নতুন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেচ মন্ত্রী জানান এই বিশেষ কমিটি গঠনের কথা। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই এই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেচ মন্ত্রী নিজে সেই রিপোর্ট জমা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ে একের পর এক বাঁধ ভাঙার জেরে দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরই যে সৌমেন বেজায় চাপে পড়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এর ফলে পরোক্ষে চাপ বাড়তে পারে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অধুনা বিজেপির দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। কারণ এই দু’জন নেতা একদা সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের। এই দুই নেতার মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে সায় দিয়েছে মমতার মন্ত্রিসভা। এ বার নতুন করে সেচ বিভাগেও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত হলে রাজীবের উপর চাপ বাড়তে বাধ্য।
প্রসঙ্গত, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরের পর বছর টাকা দিলেও তা কি জলে ঢালা হচ্ছে নাকি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। মমতাকে বলতে শোনা যায়, “আজকেও বিদ্যাধরী নদীর একটা বাঁধ ভেঙেছে। দীঘায় একটা পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে এত বছর ধরে। কেন এত দিন সময় লাগছে। টাকা কি কম নিচ্ছে ? টাকা তো কম নিচ্ছে না। কেন এতদিন সময় লাগছে। এর একটা তদন্ত করা হবে। টাকা তো সব জলেই চলে যাচ্ছে।”
Be the first to comment