ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর আর্তদের জন্য ১০০০ কোটির ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই আর্থিক প্যাকেজ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয় বরং সাইক্লোন বিধ্বস্ত ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের জন্যও এই আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সূত্রের খবর, আপাতত ১০০০ কোটির সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সময়ে যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলও পাঠানো হবে হবে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
এ বাদেও প্রকৃতির এই তাণ্ডবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা, এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে যে এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি পুনর্নিমাণের জন্য যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, এলাকা পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, ইয়াসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িশার বেশিরভাগ এলাকা। এ বাদেও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা এবং ঝাড়খণ্ডের কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, এই ১০০০ কোটির মধ্যে ৫০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে ওড়িশার জন্য। বাকি ৫০০ কোটি পাবে বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মোট ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত একটি ফাইলও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবন এবং দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে মোট ২০ হাজার প্যাকেজ দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যদিও তাঁর সংশয় ছিল, কতটা পাবেন কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য। প্রধানমন্ত্রী ফিরে যেতেই দেখা গেল, তাঁর আশঙ্কা অনেকাংশে সত্যি।
Be the first to comment