প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইয়াস পরবর্তী রিভিউ বৈঠকে নাম ছিল নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হতে পারে, বোঝা গিয়েছিল তখনই। সেই আশঙ্কা সত্যি করে বৈঠক এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ফের একবার তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্র ও রাজ্যের এই ধরনের সংঘাত রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য স্বাস্থ্যকর নয় বলেই টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
যদিও সেই বৈঠক চলাকালীন কলাইকুণ্ডায় হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখার পর রাজ্যের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিস্তারিত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুক্ষণ পরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি যে মমতা ভালভাবেই নেননি তা কার্যত স্পষ্ট। কিন্তু এই সংঘাত নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন মমতা এবং শুভেন্দু উভয়েই। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে টুইট করে সংঘাতের সুর উস্কে দেন রাজ্যপাল।
তিনি টুইট করে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আধিকারিকরা উপস্থিত থাকতেন তবে তা রাজ্যবাসীর জন্য মঙ্গলদায়ক হত। রাজ্যের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সংঘাত ইতিবাচক নয়। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর গরহাজির থাকা সংবিধানের পরিপন্থী।”
তবে মমতা নিজে সেই বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের কর্তব্য তিনি পূরণ করেছেন। মুখমন্ত্রীর টুইটও কার্যত সেদিকেই ইঙ্গিত করেছে। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “হিঙ্গলগঞ্জ এবং সাগরে রিভিউ মিটিং করার পর আমি কলাইকুণ্ডায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে ইয়াসে রাজ্যের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাঁর হাতে তুলে দেই। সেখান থেকে বেরিয়ে আমি দিঘায় এসেছি ত্রাণ এবং সংস্কারের কাজ দেখতে।”
Be the first to comment