কয়েকদিন আগেই মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ বেড়েছিল। বেশিদিন স্থায়ী হল না সেই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার বদলির নির্দেশ দিল আলাপনকে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে তাঁকে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩১ তারিখ, অর্থাৎ সোমবার তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, তাঁকে কর্মীবৃন্দ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে তাঁকে কাজে যোগ দিতে হবে।
শুক্রবার কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু কেউই বৈঠকে যোগ দেননি। এর কয়েকঘণ্টার মধ্যে আলাপনবাবুকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে ৩১ মে-এর মধ্যে নয়া দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ মন্ত্রকে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। বলে রাখি, দিন কয়েক আগেই আলাপনবাবুর কর্মজীবনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের অনুরোধে তাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানো হয়েছিল। যার ফলে মুখ্যসচিব হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে কোনও বাধা ছিল না তাঁর। এরই মধ্যে তাঁকে দিল্লি তলবে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের বৈঠকে আলাপনবাবুর গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে কী করে একজন IAS আধিকারিক কোনও কারণ না দর্শিয়ে গরহাজির থাকতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাধাতেই বৈঠকে যোগ দেননি আলাপনবাবু।
কিন্তু আচমকা কেন সরতে হল আলাপনকে? কেন্দ্রীয় সূত্র মারফৎ যে ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে তা হল, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিকালে মুখ্যসচিব হিসেবে কর্তব্য পূরণে গাফিলতি ছিল তাঁর। প্রথমত, যখন মোদী আসেন তখন মুখ্যসচিবও কলাইকুণ্ডার একই চত্বরে হাজির ছিলেন কিন্তু প্রোটোকল মেনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আসেননি। দ্বিতীয়ত, সাইক্লোন ইয়াস পরবর্তী আজকের বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলাপনের একটি পিপিটি প্রেজেন্টেশন দেখানোর কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকার কারণে তিনি সেই কর্তব্য পালনেও ব্যর্থ হন। ঠিক সেই কারণেই সরতে হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
Be the first to comment