জুন মাসের জন্য রাজ্যগুলির টিকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে অবগত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। সূত্রের খবর, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যগুলি ৪ কোটি টিকা পাবে।
যদিও উত্তরপ্রদেশ কত টিকা পাবে, তা জানাতে অস্বীকার করেছে যোগী সরকার। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে জন্য যা টিকা বরাদ্দ হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। আপাতত ১০ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে জুনের প্রথম ১৫ দিনের জন্য। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে এই পরিমান ডোজ রাজ্যের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
২৭ মে-তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের তরফে ২২ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০.১ কোটি প্রয়োগ করেছে রাজ্যগুলি। এপ্রিলে গড়ে এখন ২০ লক্ষ করে টিকাদান চলছে। তবে মে মাসের ২২ থেকে ২৮-এর মাঝে এই গড় ১১.৬ লক্ষে নেমে আসে। এই বিষয়ে নীতি আয়োগের তরফে জানানো হয়েছে এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ৪০ শতাংশ কম টিকাকরণ হয়েছে দেশে। এদিকে রাজ্যগুলির অভিযোগ টিকার অভাব দেখা দিয়েছে।
টিকা বরাদ্দ নিয়ে রাজ্যগুলির অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এরইমধ্যে। রাজস্থানের অভিযোগ, টিকাকরণে কেন্দ্র ব্যর্থ। টিকা বরাদ্দ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ওড়িশাও। কর্ণাটকের তরফে টিকা বরাদ্দ নিয়ে বলা হয়েছে, টিকার উত্পাদন যে কম, সেই বিষয়টি আমাদের সকলকে বুঝতে হবে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের তরফে দাবি করা হয়েছে, জুন মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পাবে রাজ্য। তবে ঠিক কত সংখ্যক টিকা তারা পেতে চলেছে, তা জানানো হয়নি যোগী সরকারের তরফে।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্র, রাজ্যগুলির প্রতি তার দায়িত্ব পালন করছে না। সেই অভিযোগ নীতি আয়োগের তরফে খারিজ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিদেশি ভ্যাকসিন আনাতে সবরকম আর্থিক ব্যয়ভার কেন্দ্র সরকার বহন করছে। যাতে ভ্যাকসিন উৎপাদন সংস্থাগুলিকে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া যায়। এমনকি রাজ্যগুলিকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি খুব কম ক্ষেত্রেই রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন কিনতে বলা হয়েছে। নীতি আয়োগ আরও জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সরকার নিজ উদ্যোগে মার্কিন এফডিএ, ইএমএ, যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ এবং জাপানের পিএমডিএ-র ছাড়পত্র দেওয়া ভ্যাকসিনের ভারতে প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যগুলিকে যথেষ্ঠ পরিমাণে ভ্যাকসিন সরবরাহ না করার অভিযোগও খারিজ করেছে নীতি আয়োগ। যেখানে নীতি আয়োগের তরফে বলা হয়েছে, ঘোষিত গাইডলাইন অনুযায়ী, স্বচ্ছতা বজায় রেখে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। এমনকি ভ্যাকসিনের জোগান সম্পর্কেও রাজ্য সরকারগুলিকে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভ্যাকসিনের জোগানও বাড়বে বলে জানিয়েছে নীতি আয়োগ।
Be the first to comment