কলাইকুন্ডার বৈঠক ঘিরে বিতর্কের আঁচ গত কাল রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতিতে পৌঁছে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র। শনিবার তারই জবাব দিয়ে মমতা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাঁর কোনও দোষ ছিল না। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলাইকুন্ডায় বৈঠকের অতিথি তালিকায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নাম থাকার কারণেই প্রথম আপত্তি তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ‘অসত্য বলছেন মমতা’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর বৈঠকে উপস্থিতির বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন। শুক্রবারের বৈঠকেও তিনি বলেছেন, ‘বিরোধী দলনেতাদের যদি এতই সম্মান দেওয়া হয়, তাহলে লোকসভায় কেন বিরোধী দলনেতাকে সম্মান দেওয়া হয় না? গুজরাটে কেন বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না? ওডিশায় বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়নি কেন?” শুভেন্দু মমতার এই দাবি অসত্য বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘ওডিশায় বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়েছিল। তিনি কোভিডের কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি।’ লোকসভার ক্ষেত্রেও এই সম্মান দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দুর আরও দাবি, মমতা একের পর এক অসত্য কথা বলেছেন। শুভেন্দুর আরও দাবি, উপকূল এলাকা থেকে নির্বাচিত বিধায়ক তিনি। সেইজন্যই বৈঠকে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ দিন, শুভেন্দু মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাংবিধানিক প্রোটোকল ভেঙেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু বলেন, ‘যে কোনও আমলার উচিৎ সব দলকেই সম্মান জানানো। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেরিয়ে গিয়ে ঠিক করেননি মুখ্যসচিব।’ তবে শুভেন্দুর দাবি, সাংবিধানিক সম্মানটুকু দিলেই হবে। পায়ে হাত দেওয়ার কোনও দরকার নেই।
এ দিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বললে তাই করব, যদি বাংলার মানুষের উপকার হয়।’ তাঁকে বিনা কারণে অপদস্থ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, পায়ে ধরছি। এই নোংরামো আপনারা বন্ধ করুন।’
Be the first to comment