কেন্দ্র চাইলেও রাজ্য ছাড়তে নারাজ। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এই বিরোধের পরিণতি কী? কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সর্বোপরি ঠিকই, কিন্তু সংশ্লিষ্ট আমলার ইচ্ছা অনিচ্ছারও মূল্য আছে। বিরোধ না মিটলে কি জল গড়াবে আদালতে? উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক এই বিধিকে কাজে লাগিয়েই আমলাদের বদলি করা হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির ক্ষেত্রেও এই বিধির ৬/ ১ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। এই নিয়েই সংঘাত বেঁধেছে কেন্দ্র-রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপনকে ছাড়তে রাজি নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য। আগামী সোমবার দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবকে। হাতে আর দিন দুয়েক সময়।
কেন্দ্র যদি এর মধ্যে নির্দেশ প্রত্যাহার না করে, তাহলে জল কোথায় গড়াবে? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা আছে আধিকারিককে তলব করার। কিন্তু এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমলার ইচ্ছারও গুরুত্ব আছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে দিল্লি আনা সহজ নয়। রাজ্য আমলাকে ছাড়তে চাইছে কিনা, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দিল্লিতে হাজির না হন তাহলে কেন্দ্র তাঁকে শোকজ করতে পারে। মুখ্যসচিব বলতে পারেন, তিনি মাত্র তিন মাসের বর্ধিত মেয়াদের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। প্রাক্তন শীর্ষ আমলাদের একাংশের মতে, কেন্দ্র যদি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়ে দেয়, কিংবা তাঁকে ক্যাবিনেট সচিবের পদে নিয়োগ করে, তবেই তাঁর কাছে দিল্লি যাত্রা অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে।
কী করবেন আলাপন? মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ছাড়বেন? কী পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র? বিরোধ বাড়লে মামলা গড়াতে পারে আদালত পর্যন্ত।
Be the first to comment