ভোটের ফল প্রকাশের পর মেগা বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দলের সমস্ত নির্বাচিত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতিদের বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেই তৃণমূলের অন্দরের খবর। শোনা যাচ্ছে সে বৈঠকে ঠিক হতে পারে মন্ত্রী ও সংগঠনের জেলা সভাপতিদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
জোর জল্পনা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করতে চাইছেন। একাধিক দায়িত্ব নয়, বরং একটা দায়িত্বই ভাল করে সামলান তাঁর সৈনিকরা, চাইছেন দলনেত্রী। একইসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে, আরও বেশি করে নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে দলকে সমৃদ্ধ রাখতে। তেমনটা হলে আগামী ৫ জুনের বৈঠকে একাধিক রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই জোরাল জল্পনা বেশ কয়েকটি নাম ঘিরে। এ জল্পনায় প্রথমেই রয়েছে বনমন্ত্রী ও একাধারে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিই যদি এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে হাঁটতে চান, সেক্ষেত্রে জ্যোতিপ্রিয়কে একটি পদ ছাড়তে হতে পারে। একই ভাবে সেচ মন্ত্রী ও পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী ও পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের পদের ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে।
শুধু তাই নয় রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী যাঁরা আবার হাওড়া শহর ও গ্রামীণের দুই সভাপতিও বটে সেই অরূপ রায় এবং পুলক রায়ের পদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তৃণমূল শিবিরে জল্পনা এই সব মন্ত্রীরা জেলা সভাপতি পদ খোয়াতে পারেন। দলকে আরও গতিশীল করতেই এই পদক্ষেপ নিতে পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
আগামী ৫ জুন তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার পরও তৃণমূলের রণকৌশল নির্ধারণে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পিকের। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এ রাজ্যে ছোট একটি টিম নিয়ে কাজ চালাবেন প্রশান্ত। একই সঙ্গে আগামী ২০২৪ এমনকী ২০২৬-এর লক্ষ্যেও দলকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে মমতার অন্যতম পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের।
Be the first to comment