সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় টিকাকরণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি চলছে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এল নাগেশ্বর রাও ও এস রবীন্দ্র ভটের বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে রয়েছেন। কেন্দ্রের তরফ থেকে সওয়াল করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের টিকাকরণ পদ্ধতি, ওষুধ বণ্টন ও অক্সিজেনের জোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এরপর বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য মামলা স্থগিত ছিল। এ দিন মামলার শুনানি শুরু হতেই কেন্দ্র জানায়, ২০২১ সালের মধ্যে ভারতের প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।
তবে কেন্দ্রের একাধিক পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কেন ৪৫ ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে রাজ্যকে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন দিয়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের স্রেফ ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র? দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রভাব বেশি, তাহলে কেন কেন্দ্র এই বয়সসীমাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না? এই প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে।
রাজ্যের জন্য কেন কেন্দ্রের থেকে বেশি দাম প্রতিষেধকের? এই প্রশ্নও করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তখন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সব রাজ্যের জন্য একই দাম। এরপর রাজ্যের জন্য ভ্যাকসিনের দাম কমানো হয়েছে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট জানতে চান বিচারপতি রবীন্দ্র ভট। কো-উইন নিয়ে বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন তুললে সলিসিটর জেনারেল জানান, এখন ওয়াক-ইন পদ্ধতিতেও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা একটি হলফনামা পেশ করে জানান, কেন্দ্রের টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। একাধিক রাজ্য টিকা পাওয়ার জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডেকেছে। সে বিষয়েও কেন্দ্রের নীতি জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, বিভিন্ন পুরসভা গ্লোবাল টেন্ডার ডাকছে, এটা কি কেন্দ্রের নীতি?
Be the first to comment