বাংলার উপকূল এলাকায় ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়ার পর জলস্ফীতির জেরে ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। গত বুধবার বিকেলে হুগলি নদী লাগোয়া বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহাল নদী বাঁধ পরিদর্শন করার পাশাপাশি ফ্লাড সেন্টার ও ত্রাণ শিবিরগুলিও ঘুরে দেখেছিলেন তিনি। এবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও অন্যান্য বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন অভিষেক।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২ জুন, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার ইয়াস কবলিত বিভিন্ন এলাকায় যাবেন অভিষেক। সাগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের একাধিক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইয়াসের জেরে হুগলি নদীর বাঁধ উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল পুরসভার ১ নম্বর ব্লক ও ডায়মন্ড হারবার-২ ব্লকের নুরপুরের শ্রীফলবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়ে বেশ কিছু মাটির বাড়ি। তবে বাসিন্দাদের আগেই উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। এরপরই গত বুধবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের হুগলী নদীর বেহাল বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন এলাকার সাংসদ অভিষেক। এরপর তিনি স্থানীয় ফকিরচাঁদ কলেজ, ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুল, নুরপুর হাইমাদ্রাসা-সহ মোট পাঁচটি ত্রাণ শিবির খতিয়ে দেখেন, কথা বলেন আশ্রয় নেওয়া মানুষজনের সঙ্গে। সেইসঙ্গে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য নির্দেশও দেন সাংসদ।
ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই অবশ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে তীব্র জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল। সমুদ্র বাঁধ ভেঙে একের পর এক গ্রাম এখনও জলের তলায়। মণি নদীর জল ঢুকে পড়ে রায়দিঘিতে। কাকদ্বীপের গোবর্ধনপুরও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সাগর, হিঙ্গলগঞ্জ ও দিঘা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদেরও নিজেদের-নিজেদের জায়গায় থাকারই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment