তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ৷ উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে বিধানসভার অধিবেশনের প্রথমার্ধে ওয়াকআউট করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা ৷ বাইরে এসে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করলেন, ‘‘বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বিধানসভাতেও আক্রান্ত ৷’’
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এদিন অধিবেশন চলাকালীন ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে তাঁর বাবা শিশির অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করা হয় ৷ তিনি এই নিয়ে প্রতিবাদ করেন ৷ বিজেপির অন্য বিধায়করাও প্রতিবাদ করেন ৷ তার পর তিনি বক্তব্য রাখতে শুরু করেন ৷ তাঁর বক্তব্য, এবারের বিধানসভায় তিনটি বিষয় উল্লেখযোগ্য ৷
প্রথমত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তৈরি করা জনসঙ্ঘ থেকে তৈরি হওয়া বিজেপি এবার ৭৭টি আসনে জিতে বিধানসভায় জায়গা পেয়েছে ৷ দ্বিতীয়ত, এবারের বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই ৷ আর তৃতীয়ত, এবারের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জিততে পারেননি ৷
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের প্রসঙ্গের কথা বলতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন কেরলে এলডিএফ জেতার পরও মুখ্যমন্ত্রী অচ্যুতানন্দন হেরে যান ৷ হিমাচল প্রদেশে বিজেপি জিতলেও সেখানে দু’টি আসনে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল ৷ শুভেন্দুর বক্তব্য, দু’টি ক্ষেত্রেই ওই দু’জন মুখ্যমন্ত্রী হননি ৷ এই বিষয়টি তুলে ধরতেই তাঁকে বলতে বাধা দেওয়া হয় বিধানসভায় ৷ বিচারাধীন বিষয়ের অজুহাত দেখিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলতে বাধা দেন ৷ সেই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শাসক দলের বিধায়করাও হইচই শুরু করে বলে তাঁর অভিযোগ ৷
তাঁর দাবি, শাসকদলের টিকাটিপ্পনির বিরুদ্ধে তাঁরা লড়াই করতে পারেন ৷ কিন্তু অধ্যক্ষও শাসকদলকে রক্ষা করছেন ৷ শুভেন্দু বলেন, ‘‘স্পিকার তো বিরোধীদের রক্ষা করবেন ৷ কিন্তু তিনি শাসকদলের প্রতি দুর্বল ৷ তাই প্রতিবাদে আমরা ওয়াকআউট করেছি ৷’’ একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বিধানসভাতেও আক্রান্ত ৷ বিধানসভায় মমতা হেরেছে সেটা বলা যাবে না ৷’’
Be the first to comment