ভুয়ো টিকাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতারের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তৃণমূল সরকার। আর এ বার ভুয়ো সিবিআই অফিসার এবং আইনজীবী সনাতন রায়চৌধুরীর গ্রেফতারির পর অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই সনাতন রায়চৌধুরীর বাড়ি থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। যার মধ্যে অন্যতম বিজেপির একটি লেটার প্যাড। পাশাপাশি রুদ্রনীল ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে এই ভুয়ো অফিসারের।
কসবার ভুয়ো টিকাকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পর রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তারপর সামনে আসে ভুয়ো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসার ৷ আর এ বার ভুয়ো সরকারি আইনজীবী। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একটা কমন বিষয় হল, নীলবাতি লাগানো গাড়ি।
লালবাজার সূত্রে খবর, ২৫ জুন তালতলা থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা দফতরের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেন সনাতন ৷ রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি বলেন, একজন লোককে তিনি তালতলা থানায় পাঠাচ্ছেন। তাঁর কিছু সমস্যা রয়েছে। ওসি নিজে যেন সেই সমস্যার সমাধান করে দেন। কিন্তু লালবাজারে তরফ থেকে খোঁজখবর নেওয়ার পরই সত্যিটা সামনে আসে ৷ এরপর এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এই নামে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা দফতরে কোনও আধিকারিক বর্তমানে নেই। বরানগরের একটি অভিজাত আবাসনের নিচেই সনাতন রায়চৌধুরীর দফতর ৷ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কলকাতা পুলিশ আধিকারিকরা একাধিক বিজেপির কাগজপত্র পেয়েছে ৷ তাহলে কি শুধুমাত্র ক্ষমতালোভীরাই শাসক দল এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রী অর্থাৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে ৷ এ বিষয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।
Be the first to comment