পরিবারের কঠিন সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেলেন মুকুল রায়। মঙ্গলবার সকালে দীর্ঘ রোগ ভোগের পর চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন মুকুলের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। স্ত্রী-হারা মুকুলকে সমবেদনা জানাতে এ দিন দুপুরে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে যান মমতা। প্রায় ১ ঘণ্টা থাকেন সেখানে। দেখা করে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর মুকুলের সঙ্গেই বেরিয়েই মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। এদিন স্ত্রী বিয়োগের খবর পেয়ে মুকুলের বাড়িতে পৌঁছন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু। পৌঁছন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও।
কৃষ্ণনগরের বিধায়ককে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, “মুকুল আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী। ওঁর স্ত্রী-কে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। ওদের পরিবারে আমি অনেকবার গিয়েছি। ওঁর (মুকুল রায়ের) মা যখন বেঁচে ছিলেন তখনও দেখা হয়েছে।” কৃষ্ণাদেবীর মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আমরা সবাই ভেবেছিলাম হয়তো সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু সবরকম চেষ্টার পরও কিছু করা গেল না। দেহ আগামিকাল সকালে নিয়ে আসা হবে চেন্নাই থেকে। তারপর মুকুলকে সঙ্গে নিয়ে ওরা যাবে কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতে। ওখানেই কাজ-কর্ম হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রায়ের বাড়িতে পৌঁছন দুপুর পৌনে ৩ টে নাগাদ। বেরিয়ে আসেন ৪ টে বাজার একটু আগে। শুভ্রাংশু যদিও বর্তমানে কলকাতায় নেই। তিনি এই মুহূর্তে চেন্নাইতেই আছেন বলে খবর। সেখান থেকে তিনি কৃষ্ণাদেবীর দেহ কলকাতায় নিয়ে আসবেন, এবং তারপর কাঁচরাপাড়া ফিরে যাবেন।
Be the first to comment