বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ‘ল্যাজ কাটা হনু’ বলে কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Spread the love

বিধানসভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও বহুবার তিনি অভিযোগ তোলেন, নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় এ রাজ্যে ভোটে আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার বিধানসভা কক্ষে একেবারে ‘অন দ্য রেকর্ড’ একই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা অধিবেশনে মন্তব্য করেন, “কমিশন না সাহায্য করলে ৩০টা আসনও পেত না বিজেপি।” বিজেপিকে এদিন, ‘ল্যাজ কাটা হনু’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, কথার কোনও সৌজন্য নেই। উল্লেখ্য, সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনই ছিল সরগরম। শাসকদলের আসনে যেমন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা হিসাবে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে নন্দীগ্রামের পরাজয়ের বিষয়টি আনার সঙ্গে সঙ্গে অধিবেশন কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি ওয়াক আউট করে। এরপরই ভাষণের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বহু জায়গায় ভোটারের থেকে ভোট বেশি পড়েছে। ভোটে কারচুপি হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তোলেন।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা না পেলে এ রাজ্যে বিজেপি ৩০টি আসনও পেত না। বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভোট নিয়ে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তবে সেটা রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে। এ ভাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই আক্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটা রেকর্ড হয়ে থাকল। বিজেপি বারবার সরব হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। পাল্টা তৃণমূলও জানিয়েছে, যা হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সে সময়ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কমিশনের হাতেই ছিল। এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই কথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এত অভিযোগ! আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আর হয়েছে? আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কমিশনের হাতে সব ক্ষমতা ছিল। সেই সময় হয়েছে। আসলে, যোগ্য সরকারি আধিকারিক, জেলাশাসকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি যখন সরকারে থাকব, তখন সবাই আমার কাছে এক।”

এরপরই মমতা বলেন, “আমি অটল বিহারী বাজপেয়ী, রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কাজ করেছি। এখনকার বিজেপি কে? ল্যাজ ছাড়া হনু। এবার বিধানসভা নির্বাচন জোর করে দখলের চেষ্টা হয়েছে। বাংলাকে বহিরাগতদের আখড়ায় পরিণত করে, কুৎসার ঝড় তোলা হয়েছে। জেলায় জেলায় আরএসএস বসিয়ে রাখে। আপনাদের বলার কিছু নেই। তাই এক মিনিটে সভার কাজ সেরে প্রেসের কাছে ছোটেন। যারা রাজ্যপালকে ভাষণ পড়তেই দিল না, তারা বোঝাতে চাইছে, ‘আমি কত বড়’। কোনও সংস্কৃতি নেই ওদের।” বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তোমাদের কোনও ক্ষমতা নেই আমার দুর্বার গতিকে রুখবার।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*