বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে। আর এখন তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে জোর চর্চা শুরু হয়েছে কারণ এই রদবদল করে চমকে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আগামীকাল সন্ধ্যেবেলায় তা ঘটতে চলেছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে।
তবে দলের পক্ষ থেকে বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনও চূড়ান্ত সিলমোহর মেলেনি। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে প্রায় দেড় ড’জন নতুন মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যগুলিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
এই রদবদলের জল্পনার মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওরচাঁদ গেহলটকে কর্নাটকের রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশে আরও তিনজনকে পাঠানো হবে। তাঁরা দলের পক্ষ থেকে হবেন না মন্ত্রিসভা থেকে হবেন তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্যসবার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নয়াদিল্লি এসে পৌঁছেছেন। সুতরাং তিনিও মন্ত্রী হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনার মাঝে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং নারায়ণ রাণা–সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আজ দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। একাধিক সাংসদ ও তিন নেতা আজই দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শান্তনু ঠাকুরও দিল্লি যাচ্ছেন। বাংলার আরও দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে চর্চায়।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রদবদলের বিষয়ে গত মাস থেকেই চর্চা চলছে। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করেছেন অমিত শাহ, জেপি নড্ডা এবং বিএল সন্তোষের সঙ্গে। বৈজয়ন্ত পান্ডা, রাকেশ সিং, নারায়ণ রেন, হিনা গাভিত, সন্ধ্যা রাই, সুনিতা দুগল, জেডিইউ নেতা আরসিপি সিং, লালন সিং এবং সন্তোষ কুমারের নাম শোনা যাচ্ছে। মোট ৫৭ জন মন্ত্রী নিয়ে মোদী সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে ২৪ জন ক্যাবিনেট, ৯ টি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী।
Be the first to comment