মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিমদের গ্রেফতারির পর সিবিআইয়ের অফিস নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী যে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন, তাতে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি করেছিলেন আইনজীবী বিপ্লব শর্মা। সেই মামলা গৃহীত হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে নারদকাণ্ডে রাজ্যের ফিরহাদ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল টানাপোড়েন। কিছুক্ষণ পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজাম প্যালেসে এসেই সোজা দুর্নীতিদমন শাখার ১৫ তলার অফিসে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ছ’ঘণ্টা বসেছিলেন। এক আইনজীবী বলেছিলেন, ‘মমতা সিবিআইকে বলেছেন আমায় গ্রেফতার করা হোক।’ পরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মমতা বলেছিলেন, ‘আদালত নিজের সিদ্ধান্ত জানাবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রতিবাদকে কলকাতা হাইকোর্টে আইনি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিল সিবিআই। ফিরহাদদের জামিন আটকাতে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুুষার মেহতা বলেছিলেন, ‘অভিযুক্তদের প্রভাব দেখাতে সেইসব কাজ (বিক্ষোভ) করা হয়েছে। বার্তাটা ছিল, দেখুন, অভিযুক্তদের জন্য ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদি হাইকোর্টের এই রায় (জামিনে স্থগিতাদেশ) খারিজ করে দেওয়া হয়, তাহলে বিচারব্যবস্থাকে ব্যর্থ করতে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা সফল হবে।’
পালটা ফিরহাদ হাকিমের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ‘সতীর্থ মন্ত্রী, বিধায়করা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু সিবিআইকে কোনওরকমভাবে বাধা দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদের বিষয়টি স্রেফ ছুতো হিসেবে ব্যবহার করছে সিবিআই।’ ফিরহাদদের গ্রেফতারির দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতির কৌশল কাজে লাগিয়ে জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই। যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেছিলেন, আদালত কক্ষের ভিতরে ছিলেন না আইনমন্ত্রী। শুধুমাত্র আদালত চত্বরে ছিলেন।
Be the first to comment