কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?‌ ফেসবুকে খোঁচা পার্থর

Spread the love

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গায় পেয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। শুধু তাই নয়, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকে জায়গা পেয়েছেন। আর তারপরই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা দিলেন কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর প্রশ্ন, নিশীথ প্রামাণিক আদৌ কি স্নাতক পাশ করেছেন নাকি মাধ্যমিক উত্তীর্ণ!‌ এই খোঁচার সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেকেই তা নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।

কিন্তু এখন প্রশ্ন বিজেপির এই সাংসদের যোগ্যতা কী?‌ এই বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিকের দাবি অনুযায়ী, ওয়েবসাইটে সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখাচ্ছে ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় হলফনামায় লেখা সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। সুতরাং একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে রাজনীতির ময়দানে। আর তা নিয়েই নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টও করেন পার্থপ্রতিম রায় নামে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে শপথ নেন তরুণ নেতা নিশীথ প্রামাণিক। লোকসভা, বিধানসভায় পরপর সাফল্য পেয়েছেন তিনি। দলের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার হিসাবে নিশীথের নাম জায়গা করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তালিকায়। কিন্তু এতকিছুর পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই দাপুটে নেতার। এখন রাজ্য রাজনীতিতে এটাই আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।

এখন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক উস্কে দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে ‘ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট’ বিভাগে দেখাচ্ছে নিশীথ প্রামাণিকের বিসিএ ডিগ্রি রয়েছে। রাতারাতি মাধ্যমিক উত্তীর্ণ থেকে বিসিএ সম্পূর্ণ করা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন পার্থপ্রতিম রায়। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়। যদিও বালাকুড়া জুনিয়র বেসিক স্কুল থেকে ওই ডিগ্রি পেয়েছেন নিশীথ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নিশীথ যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতে তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ বলে উল্লেখ রয়েছে। এই দুটি তথ্য প্রকাশ্যে এনে বিতর্ক তৈরি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‌আমি না বিষয়টি বুঝতে পারলাম না! কেউ কি বোঝাবেন?‌ নাকি সাংসদ মহাশয় নিজেই বিষয়টি খোলসা করবেন।’‌

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*