শুক্রবারই বিধানসভার পিএসি’র চেয়ারম্যান হয়েছেন মুকুল রায়। আর তারই প্রতিবাদে বিধানসভার অন্য সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার এই ইস্যুতেই নাম না করে তাঁকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে সুবিধাবাদের গন্ধ আছে। এমনকী তাঁর যুক্তিতে নতুন বিধায়কদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তিনি একটি কড়া টুইটও করেছেন। আর তার পর থেকেই রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়।
এদিকে শুভেন্দু আগামী ১৬ জুলাই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তথ্যপ্রমাণ–সহ ৬৪ পৃষ্ঠা নথি নিয়ে হেস্তনেস্ত চান বিরোধী দলনেতা। তার প্রেক্ষিতেই কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন–‘এলওপি—লিমিটলেস অপর্চুনিস্ট। সস্তা রাজনীতির জন্য বিজেপির কয়েকজনকে বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য করা হল। আর তুমি নিজে পদ আঁকড়ে বসে আছো। প্রতিবাদের দম থাকলে নতুন বিধায়কদের বঞ্চিত না করে নিজে ইস্তফা দিলে বুঝতাম! সপরিবারে শুধু নিতেই জানে। ওর রাজনীতির জন্য ত্যাগ করবে অন্যরা।’ আর এই টুইট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই টুইট যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেই করা হযেছে তা মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁকেই সীমাহীন সুবিধাবাদী বলা হয়েছে।
শুক্রবার নতুন বিধানসভার মোট ৩৯টি কমিটি ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়কে পিএসসি’র চেয়ারম্যান ঘোষণা করতেই ওয়াকআউট করে বিজেপি। তারপর শুভেন্দু তোপ দাগেন, ‘রাজ্য সরকার নিজেরাই খরচ করবেন নিজেরাই তার পরীক্ষা করবে। এই সরকার ২০১৭–১৮ সাল থেকে ক্যাগের অডিট করেনি। ২০১২–১৩ সাল থেকে জিটিএ’র অডিট হয়নি। খেলা–মেলায় টাকা খরচে বিরোধীরা বাধা না হতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত। অশোক লাহিড়ীর মতো নির্বাচনে জিতে আসা অর্থনীতিবিদ ভুলগুলি যাতে ধরতে না পারেন, তাই মুকুল রায়কে মনোনীত করল।’ আর আজ পাল্টা তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ।
Be the first to comment