‘‌মনের আনন্দে দিলীপ দা অনেক কিছুই বলেন’‌, দিলীপকে খোঁচা বাবুল সুপ্রিয়র

Spread the love

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব গিয়েছে। এখন শুধুই সাংসদ। এটা যেদিন ঘটেছিল সেদিন তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।’ এটাই ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রথম পোস্ট। পরে আবার ‘শুধরে’ নিয়ে লেখেন, ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল কথাটা হয়ত এভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।’ হ্যাঁ, তিনি আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যিনি অপ্রিয় হয়ে ওঠায় বাদ পড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর বৃহৎ মন্ত্রিসভা থেকে বলে মনে করছেন রাজনৈতির কুশীলবরা। শনিবার বারবেলায় তিনি এবার আর একটি পোস্ট করলেন। সেখানে রইল একরাশ অভিমান।

এবার সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম করে ফেসবুকে পোস্ট করলেন তিনি। ঠিক কী লিখেছেন তিনি?‌ টুইট করে তিনি লেখেন, ‘‌দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন এতেই আমি আনন্দিত। রাজ্য সভাপতি হিসাবে মনের আনন্দে দিলীপ দা অনেক কিছুই বলেন। আবারও বললেন, আমি শুনলাম। কিন্তু এই উক্তি কেন করলেন সেটা যদি এবারকার জন্য আমি স্বজ্ঞানে বুঝেও না বুঝি তো ক্ষতি কী?‌ এটাই আমার প্রতিক্রিয়া!‌’‌ বাবুল সুপ্রিয় এই পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন, দিলীপ ঘোষ অনেক কিছুই বলতে পারেন, তাতে অত আমল দেওয়ার কিছু নেই। তাই এই পোস্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

https://www.facebook.com/BabulSupriyoOfficial/posts/4280729028636539

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফার পরেই দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রীর অনেক ধমক খেতে হতো রোজ। মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে কম গালমন্দ করেননি মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্যরা। এখন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বাবুল।‘‌ রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ টুইট করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘‌আমার হাঁফ ছেড়ে বাঁচাতে দিলীপ দা আনন্দ পেয়েছেন এতেই আমি আনন্দিত!‌ উনি রাজ্য সভাপতি–সবার শ্রদ্ধার পাত্র। আমিও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানালাম প্রিয় দিলীপ দাকে।’‌ এই টুইট বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বকে আরও প্রকট করল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*