নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে যাওয়ার হুঁশিয়ারি অস্বীকার কৃষক নেতার

Spread the love

কৃষক আন্দোলনকে আরও জোরদার করার বার্তা দিলেন ভারতীয় কৃষক সংগঠনের নেতা রাকেশ টিকায়েত ৷ শনিবার তিনি জানান, আগামী ২২ জুলাই থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি সংসদের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে ৷ ওই দিন থেকে ২০০ জন করে আন্দোলনকারী সংসদ ভবনের কাছেই বিক্ষোভে সামিল হবেন ৷

এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে এই প্রসঙ্গে রাকেশ বলেন, ‘‘যদি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে কথা বলতে চায়, সেক্ষেত্রে আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি ৷ কিন্তু, সরকার যদি কথা বলতে রাজি না হয়, কিংবা কোনও সমাধানসূত্র না বের হয়, তাহলে আগামী ২২ জুলাই থেকে আমাদের ২০০ জন প্রতিনিধি সংসদ ভবনের কাছেই বিক্ষোভ দেখাবেন।’’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই রাকেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত কিন্তু আলোচনা হতে হবে শর্তহীন ৷ উল্লেখ্য, রাকেশ টিকায়েতের মন্তব্যের কারণ ছিল কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের একটি বক্তব্য ৷ কৃষি মন্ত্রী বলেছিলেন, বিকল্প পথ যাতে বের করা যায়, তার জন্য আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছে কেন্দ্রের সরকার ৷ তারই প্রেক্ষিতে বৈঠকের বার্তা দিয়েছিলেন রাকেশ টিকায়েত ৷

উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলন ও ট্র্য়াক্টর ব়্যালিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ জনুয়ারি কার্যক্ষেত্রে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি ৷ সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন রাকেশ টিকায়েত ৷ অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে নাকি রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি ৷ যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাকেশ ৷

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কখনই বলিনি যে ২৬ জানুয়ারির ঘটনা নিয়ে আমরা রাষ্ট্রসংঘের কাছে যাব ৷ আমরা বলেছি, এমন কি কোনও সংস্থা আছে, যারা নিরপেক্ষভাবে ওই দিনের ঘটনার তদন্ত করতে পারে ? যদি তেমন কোনও সংস্থা না থাকে, তাহলে কি আমাদের এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়া হতে হবে ?’’

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার দিল্লির সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা ৷ সেই আন্দোলনেরই অঙ্গ হিসাবে গত ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাজপথে ট্র্য়াক্টর ব়্যালি করার কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা ৷ কিন্তু নির্দিষ্ট রুট ভেঙে ক্রমশ লালকেল্লার দিকে এগোতে শুরু করেন তাঁরা ৷ যার জেরে তুমুল অশান্তি ছড়ায় ৷ এমনকী, লালকেল্লার শিখরে উঠে একটি সংগঠনের পতাকাও টাঙিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেই ঘটনারই নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত ও তাঁর সহযোদ্ধারা ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*