উত্তরদিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। পেশায় স্কুল শিক্ষক বেঞ্জামিন হেমব্রম। আর তাকেই আটক করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক তিনি।
এদিকে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলার কাছে একটা আবাসনে থাকেন তিনি। কাছেই কর্ণজোড়ায় জেলা প্রশাসনিকভবন। সেখানে যাতায়াতের সময় দাঁড়িয়ে থাকা একটি কালো রঙের গাড়িকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ কর্তাদের। খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে গাড়িটিতে বেঞ্জামিন হেমব্রম চেপে ঘোরাঘুরি করেন। এরপর রবিবার দুপুরে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এরপরই তার কথায় নানা অসংগতি ধরা পড়ে।
এদিকে গাড়িতে একাধিক বিতর্কিত বোর্ডকে ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের। গাড়ির সামনে ভারত সরকারের প্ল্যানিং কমিশন, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন সহ নানা ধরনের বোর্ড লাগানো ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে তার কাছ থেকে কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তবে বেঞ্জামিন হেমব্রমের দাবি, একটি এনজিও চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে তিনি গাড়িতে এই বোর্ড ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, কার্ডও আছে আমাদের কাছে আছে। ভারত সরকারের কথা কেন লেখা রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার অ্যাপয়ন্টমেন্টে লেখা আছে। কলকাতায় চেয়ারম্যান থাকেন। তিনিও এই ধরনের বোর্ড লাগান।’
এদিকে গোটা ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখর রায় বলেন, ‘বেঞ্জামিন হেমব্রমের সঙ্গে বছর দশেক আগে যোগাযোগ ছিল। তিনি তৃণমূলের পদে ছিলেন না। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।’ এদিকে সূত্রের খবর, ২০১৪সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল বেঞ্জামিনকে। পরে অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সরানো হয়েছিল পদ থেকে।
Be the first to comment