দ্রুত উপনির্বাচন করানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস

Spread the love

দ্রুত রাজ্যে উপনির্বাচন করানোর দাবি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারের জন্য সাত দিন সময় দিয়ে যাতে নির্বাচন করানো হয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সেই দাবি জানাবে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল ৷

এই মুহূর্তে রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দু’টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণই বাকি অর্থাৎ সবমিলিয়ে সাতটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে ৷ রাজ্য প্রশাসন যে উপনির্বাচনে জন্য প্রস্তুত, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে তা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব উপনির্বাচনগুলি সেরে ফেলুক নির্বাচন কমিশন ৷

যদিও প্রকাশ্যে না বললেও তৃণমূলের অন্দর মহলের খবর, উপনির্বাচন পিছিয়ে দিতে অযথা জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেই মনে করছে তারা ৷ সেই কারণেই উপনির্বাচন করানোর জন্য এবার সরাসরি কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল ৷ যে কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন বাকি, তার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রও ৷ ওই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় শপথ গ্রহণের ছ’ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ এছাড়াও খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে ৷ প্রার্থীদের মৃত্যুতে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণই হয়নি ৷ ফলে ওই দুই কেন্দ্রেও ভোট হবে ৷

তৃণমূল দ্রুত উপনির্বাচন চাইলেও বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছাড়তে চায় বিজেপি ৷ তবে উপনির্বাচনের থেকেও রাজ্য পুরভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এখন করোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো ৷ সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ছ’ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়া উচিত ৷ করোনা সংক্রমণের হার যেহেতু একেবারেই কম এবং রাজ্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে, তাতে নির্বাচন করানোর জন্য এটাই আদর্শ সময় ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*