লোকসভার অধিবেশন বসার ছয়দিন আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটালো কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। দিন কয়েক ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হচ্ছিল। মঙ্গলবার কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, অধীর চৌধুরীকে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই সোনিয়া গান্ধীর।
দীর্ঘদিন ধরেই অধীর চৌধুরীকে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর তা আরও জোরদার হয়। আর তার কারণ হিসেবে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে লজ্জাজনকভাবে স্বাধীনতার পরে প্রথমবার কংগ্রেসের ঝুলিতে আসন আনতে না পারা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণ।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী যে লোকসভায় দলনেতার পদ গ্রহণ করবেন না তা নির্দিষ্ট হয়ে যাওয়ায় কে সম্ভাব্য কংগ্রেসের দলনেতা হতে পারে, তার তালিকাও প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। এঁদের মধ্যে নাম চলে আসে শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, গৌরব গগৈ, নভনীত সিং বিট্টু এবং উত্তর কুমার রেড্ডির নাম।
যদিও মঙ্গলবার সকালেই সব জল্পনার অবসান করে দেওয়া হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফ থেকে। জানিয়ে দেওয়া হয়, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা থাকছেন অধীর চৌধুরীর। পাশাপাশি ১৯ জুলাই লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর আগে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা যে সর্বদলীয় সভা ডেকেছেন, সেখানেই প্রতিনিধিত্ব করবেন অধীরই।
এআইসিসি সূত্রে খবর, লোকসভায় অধীর চৌধুরী যে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন, তাতে খুশি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। যেভাবে লোকসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কম থাকলেও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন অধীর তার তারিফ করেছেন সোনিয়া-রাহুল।
তবে কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের বৈঠক ডাকাতেই অধীর চৌধুরীকে সরানোর জল্পনা তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, এই স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের বৈঠকের সঙ্গে অধীর চৌধুরীরে লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরানোর কোনও সম্পর্ক নেই। কেননা স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের বৈঠক ডাকা হয়েছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের কৌশল ঠিক করতে।
Be the first to comment