পদ ছেড়েছেন কিন্তু দল ছাড়েননি বরং কড়া চিঠি দিয়ে বিপাকে ফেলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। হ্যাঁ, তিনি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র। বুধবার সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে রোহন মিত্র।
তাহলে এবার কোন পথে রোহন? তিনি নিজে বলেন, ‘দল এখনও ছাড়িনি। তাই দলের হয়ে কাজ করে যাবো।’ মুখ এই কথা বললেও সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের কথা হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। শঙ্কর মালাকার প্রায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। তার মধ্যেই রোহন মিত্রের চিঠি প্রদেশ কংগ্রেসে ঝড় তুলেছে। আর কয়েকদিন আগেই সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র বলেছিলেন, একমাত্র মমতাই এখন বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ। তারপরই রোহন মিত্রের এরকম আক্রমণাত্মক সিদ্ধান্ত। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেসের পথে পা বাড়াবেন শিখা–রোহন?
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এমনকী মুকুল রায়ের স্ত্রী বিয়োগের পর মুকুল এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি শিখা ঘনিষ্ঠদের। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছিল শিখা মিত্রের। তাতে বেজায় চটেছিল শিখা। আজ রোহন বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির রাজনীতি যায় না। মালদহ–মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের লোকেরাই তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন।’ সুতরাং রোহনের তৃণমূল কংগ্রেসে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে এখনও দল ছাড়েননি রোহন। কিন্তু শিখা–রোহনের গতিবিধি তৃণমূল কংগ্রেসের অনুকূল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। শিখা মিত্র আগেও তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। সোমেন মিত্ত তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। সুতরাং মুকুল রায়ের সঙ্গে সোমেন পরিবারের কি কথা হয়েছে তা নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেননি।
Be the first to comment