কিছুটা হলেও গতি হারিয়েছে কৃষক আন্দোলন। তবে কৃষকরা এখনও মাটি আকড়ে পড়ে রয়েছেন দিল্লি সীমানায়। এই আবহে ফের আন্দোলনকে গতি দিতে পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা। এই বিষয়ে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত জানান, জুলাইতে দিল্লি যাবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁরা সংসদ ভবনের বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাবেন। টানা ঘেরাও আন্দোলন চলবে। প্রতিদিন ২০০ জন আন্দোলনকারী উপস্থিত থাকবেন আন্দোলন স্থলে। পাশাপাশি এদিন টিকাইত জানান, দিল্লি সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও কৃষকরা আসতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, এদিন টিকাইত অভিযোগ করেন, কেন্দ্র আলোচনায় উৎসুক নয়। এই কারণেই সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে যোগ দিতে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক নেতারা আসছেন। দিল্লি সীমান্তে আসছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও কর্ণাটকের কৃষক নেতারা। যা পরিস্থিতি, তাতে এই বাদল অধিবেশন বেশ উত্তাল হতে পারে।
এদিকে ১৭ জুলাই অ-এনডিএ সাংসদদের একটি চিঠি দেবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। চিঠিতে ওই সাংসদদের অনুরোধ করা হবে, যাতে সংসদ ভবনের ভেতরে তাদের দাবি তুলে ধরা হয়। বাদল অধিবেশনে যাতে করে তাঁদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এই আবেদনের ফলে বিজেপি বিরোধী শক্তি একজোট হওয়ার এক প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়ে তিকাইত বলেছিলেন, ‘দেশে বিরোধীদের অবস্থা খুবই দুর্বল।’ সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন টিকাইত। গত বছরের ২৬ নভেম্বর দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কেন্দ্রের তিনটি নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কৃষকরা। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠক হলেও কাজের কাজ হয়নি।
Be the first to comment