নন্দীগ্রাম মামলা অন্য হাইকোর্টে সরানো হোক। এমনই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, বিচারপতি কৌশিক চন্দ যে মামলা থেকে সরে গিয়েছেন, সেই বিষয়টি শুভেন্দুর আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বুধবারই নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দুকে নোটিশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ইভিএম, নথি, ভিডিয়ো রেকর্ডিং-সহ নির্বাচনের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১২ অগস্ট আবারও সেই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়। সেই শুনানির আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু।
গত ২ মে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে গণনার শুরু থেকে নন্দীগ্রামে এগিয়ে ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। পরে কয়েকটি রাউন্ডে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষের দিকে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি টক্কর হয়। ষোড়শ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন মমতা। হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রে কী ফলাফল হয়, তা জানতে সারাদেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে।
প্রাথমিকভাবে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, ১,২০০ ভোট জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, শুভেন্দু জিতেছেন। তা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কয়েকটি মহল থেকে দাবি করা হয়, ১,৯৫৩ ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছেন শুভেন্দু। মধ্যরাতের কাছাকাছি নির্বাচন কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন মমতা। তারপরই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আর্জি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কমিশন।
তারপর নন্দীগ্রাম ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন মমতা। সেই মামলা গিয়েছিল বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু আইনজীবী থাকাকালীন বিজেপির হয়ে একাধিক মামলা লড়ায় বিচারপতি চন্দের বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা। সেই আর্জি অবশ্য ধোপে টেকেনি। বিচারপতি চন্দের বেঞ্চেই মামলা রেখে দেওয়া হয়েছিল।
গত সপ্তাহের বুধবার নন্দীগ্রাম মামলা সরে দাঁড়ান বিচারপতি চন্দ। সেইসঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার দায়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। যে টাকা রাজ্য বার কাউন্সিলকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
Be the first to comment