কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে চাওয়ার পরও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পায়নি রাজ্য সরকার ৷ বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে করা সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উল্লেখ্য, করোনার টিকাকরণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে। অথচ রাজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় টিকার জোগান অপ্রতুল। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ফের টিকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কোনও বিষয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিগোচরে আনা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, তাই বারবার চিঠি লেখেন তিনি, ভবিষ্যতেও লিখবেন।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যের ১২ থেকে ১৪ কোটি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। তাই প্রতি মাসে যদি কেন্দ্র ২ কোটি করে ভ্যাকসিন দেয় তাহলেও টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে ছ’মাস সময় লাগবে। তাই আমি চাইব দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।”
এদিন মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে বলেন, “আমরা চাইলেও টিকা দেওয়া হচ্ছে না। আবার কোনও কোনও রাজ্যকে বেশি করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যখন কেন্দ্র আমাদের টিকা না দেয় আমরা কোথায় যাব? কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই টিকা কেনার ক্ষমতা রয়েছে ৷ রাজ্য চাইলেও টিকা সংগ্রহ করতে পারে না। এই অবস্থায় সকলের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়ে ভ্যাকসিনের সাটিফিকেট দিতে যতটা প্রস্তুত, ততটা মানুষকে টিকা দিতে প্রস্তুত নয়।”
এছাড়া কোভিড মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশের প্রশংসা করায় মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ‘সকলেই জানেন উত্তরপ্রদেশে কী ঘটনা ঘটেছে। কোভিডে দেহ গঙ্গার জলে ভেসে এসেছে। গঙ্গার পবিত্র জল দূষিত হয়েছে।’ রাজনৈতিক কারণেই নরেন্দ্র মোদী যোগী রাজ্যের প্রশংসা করেছেন বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় যশের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ৷ যশের ক্ষতিপূরণ কেন্দ্রের থেকে আর চাইবেন কি না তা জানতে চাইলে মমতা বলেন, “আমি আর ভিক্ষা চাইব না ৷ এগুলো দুর্গত মানুষদের জন্য ৷ আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম ৷ আর ভিক্ষা চাইব না ৷”
Be the first to comment