মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে শুনানি তিন মিনিটেই শেষ হয়ে গেল ৷ এই ঘটনায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে এই শুনানি হয় ৷ দুপুর ২টোয় শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল ৷ সেই মতো পৌঁছে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু মাত্র তিন মিনিটেই শুনানি শেষ হয়ে যায় বলে বিধানসভা সূত্রে খবর ৷ এর পরেই আদালতের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি ৷
বিধানসভার ওই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে আগামী ৩০ জুলাই ফের শুনানির দিন ধার্য করেছেন অধ্যক্ষ কারণ, তাঁর এই বিষয়ে আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করার আছে ৷ যদিও অধ্যক্ষের এই আচরণকে বিচারের আগেই রায়দান বলে মনে করছে বিজেপি ৷ তাই তারা এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ৷ বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে যে আগামী ৩০ জুলাইয়ের আগেই তারা এই ইস্যুতে আদালতের দ্বারস্থ হবে ৷ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে দায়ের করা হবে ৬৪ পাতার পিটিশন ৷ একই পিটিশন অধ্যক্ষের কাছেও জমা দিয়েছে বিজেপি ৷
এদিন শুনানি শেষে বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, গত দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৫০টি দলবদল হয়েছে ৷ তার পরও এখানে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি ৷ রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রকাশ্যে ক্রস ভোটিং হওয়ার পরও এই আইন কার্যকর করা হয়নি ৷
তাই তিনি জানিয়েছেন যে এই নিয়ে বিজেপি এবার আইনের আশ্রয় নিতে চলেছেন ৷ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হবে ৷ সেখানে মুকুল রায়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সমস্ত অডিয়ো, ভিডিয়ো, টুইটার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হবে ৷ আদালতের কাছে বিজেপি দলত্যাগ বিরোধী আইন শুনানি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করার আবেদন করা হবে বলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত, গতবার গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের দলত্যাগ নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৷ সেই নিয়ে ২৩ বার শুনানি হয় ৷ কিন্তু কোনও নিষ্পত্তি হয়নি ৷ এদিন সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন ৷ আর সেই কারণেই যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন শুভেন্দু ৷
মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক হিসেবে ভোটে জিতেছেন ৷ তার পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ তাই দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া উচিত ৷ সেই কারণে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করে বিজেপি ৷ আজ ছিল শুনানির প্রথম দিন ৷ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ জুলাই ৷ কিন্তু বিজেপি যদি আদালতে যায়, তাহলে কি অধ্যক্ষের উপর তারা আস্থা হারিয়ে ফেলল ৷ এই নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, অধ্যক্ষের পরবর্তী শুনানিতে তিনি আসবেন ৷ তাঁরা চান এই বিষয়ে যাতে সময় নষ্ট না হয় ৷
Be the first to comment