মঙ্গলকোটে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সাবুল শেখ লাখুড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ও সামু শেখ তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বলেই পরিচিত ৷
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে খুন হন মঙ্গলকোট ব্লকের লাখুড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাস। পরিবারের লোকজনের দাবি, খুনের ঘটনায় খুব পরিচিত লোকজন জড়িত রয়েছে। পরিবারের লোকেদের ইঙ্গিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। এদিকে বুধবার নিহত অসীম দাসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আশ্বাস দেন, তিন দিনের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে।
এরপরেই পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। অসীম দাসকে গুলি করে খুন করার পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় বিজেপির দুষ্কৃতীরাই যুক্ত আছে। যদিও বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা দাবি করে, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে. নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযোগ নস্যাৎ করে অনুব্রত মণ্ডল জানান, সেই সময় পরিবারের লোকেদের মাথার ঠিক ছিল না। তাই তারা হয়তো কিছু বলে ফেলেছেন।
ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ যদিও ধৃত সহ-সভাপতি সাবুল শেখ আদালতে যাওয়ার পথে বলেন তাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে ।
Be the first to comment