শুভেন্দু-রক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে ফের কাঁথি থানায় সিআইডি

Spread the love

ফের কাঁথি থানায় সিআইডির প্রতিনিধি দল ৷ এই নিয়ে তৃতীয় বার সিআইডির প্রতিনিধি দল এল কাঁথিতে ৷ সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যে ডাক্তাররা চিকিৎসা করেছিলেন এবং সেই সময়ে কাঁথি থানার যে পুলিশ আধিকারিক তদন্ত করেছিলেন তাঁদের আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷ আজই কাঁথি থানায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ৷

পাশাপাশি শুভব্রত চক্রবর্তী কাঁথিতে থাকাকালীন যেসব দোকানে বসে আড্ডা মারতেন, এইরকম দু’টি সোনার দোকানের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে । সেই দু’টি সোনার দোকানের মালিকদেরও আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৷

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ৷ তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর শুভব্রতর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ৷ শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী ও তাঁর এক ভাসুর দেবব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাদাভাবে কথাও বলেছিলেন সিআইডির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷

প্রসঙ্গত, সুপর্ণার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রায় তিন বছর আগের এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ বারাকে গুলিবিদ্ধ হন ৪২ বছরের শুভব্রত ৷ রাজ্য পুলিশের কর্মী ওই যুবক রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী ছিলেন ৷ ঘটনার পরদিন, অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার অ্য়াপোলো হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় তাঁর ৷

প্রশাসনের দাবি ছিল, আত্মঘাতী হয়েছেন শুভব্রত ৷ কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ মৃতের পরিবার ৷ মৃতের স্ত্রীর দাবি, গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর ৷ সেই সময় তাঁর কথায় এমন কোনও আভাস ছিল না যে তিনি আর কিছুক্ষণের মধ্যে আত্মত্য়ার মতো কোনও চরম পদক্ষেপ করতে চলেছেন ! তাছাড়া, রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্য়ক্তির দেহরক্ষী হওয়া সত্ত্বেও শুভব্রতর চিকিৎসা নিয়ে অযথা দেরি করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের ৷ এমনকী, মৃতের দাদার প্রাথমিক বয়ান বদলে দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয়েছে সুপর্ণার করা এফআইআরে ৷

সুপর্ণার যুক্তি, প্রথম থেকেই স্বামীর মৃত্য়ুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল তাঁর মনে ৷ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রশাসনিক ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই এ নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি ৷ কিন্তু এখন প্রেক্ষাপট বদলেছে ৷ তাই গত ৭ জুলাই কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা ৷ তাতে শুভেন্দু-সহ চারজনের নাম রয়েছে ৷ শুভব্রত মৃত্যুর ঘটনায় এই চারজনের আচরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর স্ত্রী ৷ প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন তিনি ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*