এবার খাস গুজরাতে মমতা, মোদী রাজ্যের ৩২ জেলায় পৌঁছবে তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা

Spread the love

বাংলা জয়ের পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য, ‘দিল্লি চলো।’ এই আবহে এবার সরাসরি গুজরাতে পৌঁছবে তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা। আগেই জানা গিয়েছিল যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ২১-এ জুলাইয়ে দেওয়া মমতার ভাষণ শোনানো হবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। সেই রাজ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে গুজরাতের নাম।

সূত্রের খবর, গুজরাটের ৩২ টি জেলায় মোট ৫০ টি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতার ভাষণ শোনানো হবে। একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরেই তৃণমূলের তরফে অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন, এই ভোটে জয়ের পর মোদীর বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাই এখন সবথেকে বড় নাম।

তবে শুধু গুজরাত নয়, খোদ দিল্লিতেও চালবে মমতার ভাষণ। উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলাতেও মমতার ভাষণ শোনান হবে। ২১-এর ভাষণ শোনা যাবে তামিলনাড়ু, পঞ্জাব এবং ঝাড়খণ্ডেও। ত্রিপুরা এবং অসমেও মমতার বক্তব্য শোনানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ভিন রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, রাজধানীর কোনও একটি স্থানে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে। সেখানে বসেই নেত্রীর বক্তৃতা শুনবেন তৃণমূল সাংসদরা। এছাড়া পাঞ্জাবেও একই ভাবে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ নিয়েও একই ভাবনা রয়েছে বাংলার শাসক দলের।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যদিও একুশের ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয় হয়েছে। তবে করোনা আবহে প্রশাসনের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে করোনার কারণে ২১ জুলাই সেভাবে পালন করা যাবে না। এই অবস্থায় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে ব্লকে ব্লকে, পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে ২১ জুলাইকে। জায়ান্ট স্ক্রিনে সোশ্যাল মিডিয়া তথা ইন্টারনেটের সাহায্যে তৃণমূল সমর্থকদের কাছে পৌঁছে যাবে দলনেত্রীর কণ্ঠ। একই সময় তা প্রচারিত হবে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপে। শোনা যাবি ভিনরাজ্যেও।

তৃণমূল ভবন সূত্রে খবর, দলের শহিদ দিবসে বেলা সাড়ে ১১টায় একুশে স্মারকে মাল্যদান করবেন শীর্ষ নেতারা। বেলা ১২টায় বুথে বুথে তোলা হবে দলীয় পতাকা। বেলা ১টায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাষণ দেবেন স্থানীয় বিধায়করা। তাঁদের ভাষণ দিয়েই শুরু হবে একুশে জুলাই উদযাপন। এরপর দুপুর ২টোয় ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক হয়েছে, দলের সবকটি সোশ্যাল মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ প্রচারিত হবে। এছাড়া বিধায়ক, সাংসদদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও সরাসরি দেখা যাবে একুশের অনুষ্ঠান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*