পেগাসাস নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের মাঝেই বেফাঁস মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দাবি করেন যে তাঁর কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের কল রেকর্ড রয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, এই রেকর্ড তাঁর কাছে কীভাবে রয়েছে? উল্লেখ্য, শুভেন্দু এদিন এও বলেন, আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে। এরপরে জল্পনা আরও বাড়ে।
শুভেন্দু বলেন, আমি আইসি, ওসি, এবং ওসির ভূমিকার তদন্তের জন্যে সিবিআই-এর তদন্তের দিকে যাচ্ছি। তাহলে বুঝতে পারবেন, তখন কিন্তু পিসিমণি, চটিমণি কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভাইপোর অফিস থেকে যারা আপনাকে ফোন করে, আমার কাছে প্রত্যেকটা কল রেকর্ড, ফোন নম্বর আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে।
এদিকে এদিন পুলিশকে তোপ দেগে কাশ্মীরে বদলির হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বলেন, ‘আপনি সেন্ট্রাল ক্যাডারের অফিসার। এমন কিছু কাজ করবেন না যাতে করে কাশ্মীরের অনন্তনাগ বা বারমুলা গিয়ে ডিউটি করতে হয়। রাজ্যের অশান্তি নিয়ে কোর্টে মামলা চলছে। তাতে একাধিক পুলিশ কর্তার নাম রয়েছে। দিদিমণি, অভিষেক, কেউ বাঁচাতে পারবে না। বেছে বেছে আমাদের নেতা কর্মীদের মামলা দেওয়া হচ্ছে। এখনও সময় আছে সচেতন হন। না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
তবে এদিন শুভেন্দুর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়াই দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ৷ টুইটে কুণাল লেখেন, “পুলিশকে বদলি আর সিবিআই তদন্তের হুমকি দিয়েছে । নির্লজ্জ, বেহায়া । নারদ মামলায় সিবিআই এফআইআর নেমড অ্যাকিউজড ৷ ক্যামেরার সামনে ঘুষখোর । গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপির জুতো পালিশ করছে । তার মুখে সিবিআই নিয়ে হুমকি !!! নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে সিবিআই আগে ওকে গ্রেফতার করুক ।”
খানিকক্ষণের মধ্যেই ফের আরও একটি টুইট করেন কুণাল ৷ তাতে লেখেন, “প্রকাশ্যে পুলিশকে বলেছে ওর কাছে আমাদের নেতার দফতরের ফোনের কল-লিস্ট, রেকর্ডিং সব আছে । এটা ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ ।” কুণাল এই টুইটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেন যাতে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করে শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা চক্রান্তটি প্রকাশ্যে আনা হয় ৷
উল্লেখ্য, পেগাসাস ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। দ্য ওয়ারের প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক নেতার। তালিকায় নাম রয়েছে রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অভিষেকের ব্যক্তিগত সচিবের নামও রয়েছে সেই তালিকায়।
Be the first to comment