করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোনও খবর কেন্দ্র সরকারের কাছে নেই। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশের কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি অক্সিজেনের সংকটে কোনও মৃত্যুর খবর কেন্দ্রকে জানায়নি, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এমনটাই জানাল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দিল্লি , উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে অক্সিজেন সংকট প্রকট হয়ে উঠেছিল। একাধিক জায়গা থেকে অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর ঘটনা সামনেও এসেছিল। মঙ্গলবার এই বিষয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেণুগোপাল। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের কী বক্তব্য?’ এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোনও ব্যক্তির অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হলে তা জানানোর কথা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির। কিন্তু অক্সিজেন সংকটে মৃত্যুর কোনও রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি।
তবে করোনার প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছিল অনেকটাই, জানান তিনি। করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালীন অক্সিজেনের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৩ হাজার ৯৫ মেট্রেকটন, যা দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন বেড়ে দাঁড়ায় ৯০০০ মেট্রিকটন। জবাবে তিনি আরও জানান, ২৮ মের মধ্যে ২৬টি রাজ্যকে ১০ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন অক্সিজেন সংকট নিয়ে রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরপর এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছিল আদালত। পরে অবশ্য অক্সিজেন অডিট কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দিল্লি সরকার যে পরিমাণ অক্সিজেন চেয়েছিল তা প্রয়োজনের থেকে চারগুণ বেশি।অডিট রিপোর্টে বলা হয় দিল্লির প্রয়োজন ছিল ৩০০ মেট্রিকটন অক্সিজেন। কিন্তু সরকার চেয়েছিল ১২০০ মেট্রিকটন।
Be the first to comment