উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের ঘোষণার সময়ে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মেয়েটির নাম বলারও আগে তার ধর্মপরিচয় উল্লেখ করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস। তাতে আহত রাজ্যের নাগরিকদের একাংশ।
আজ সকালে এই নিয়ে টুইট করেন বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান তথা বঙ্গ বিজেপি-র সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তোষণের রাজনীতি নতুন মাত্রা পেল যখন উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সময় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মেয়েটির নাম বলার আগে তার ধর্মপরিচয় উল্লেখ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী। উচ্চমাধ্যমিকের একটি মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়াল তাঁর ধর্ম পরিচয়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী বারবার সেটি উল্লেখ করলেন। এই ছাত্রত্রীদের আর কত দিন এ সব সহ্য করতে হবে?
পাশাপাশি ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদও। এদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আপনারা সকলেই জানেন যে , গতকাল (২২/০৭/২০২১) উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের সময় সাংবাদিক বৈঠকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ড: মহুয়া দাস, প্রথম স্থান অধিকারীর নাম প্রকাশ না করে তাঁর ধর্মীয় পরিচয়’কে বার বার উল্লেখ করেছেন।
আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে তার এই মন্তব্য ও মানসিকতাকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে ও ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবিষয়ে তাঁর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় ওনাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী পরেশ অধিকারীকে ইমেইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হলো।
ধন্যবাদান্তে
সৌরভ প্রসাদ
সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদ
Be the first to comment