নভজ্যোত সিং সিধুকে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করার পরও দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে তাঁর সংঘাতের আবহ বজায় ছিল। ক্যাপ্টেন শিবিরের দাবি ছিল, সিধুকে ক্ষমা চাইতে হবে ক্যাপ্টেনের কাছে। এই আবহেই বুধবার ৬২ জন বিধায়ককে নিয়ে অমৃতসরে স্বর্ণমন্দির দর্শন করতে গিয়ে দলের অন্দরে ‘ক্ষমতা প্রদর্শন’ করেন সিধু। এই আবহে এদিন পঞ্জাবের কংগ্রেস ভবনে মুখোমুখি হলেন দুই নেতা।
জানা গিয়েছে চণ্ডীগড়ে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং সিধু চায়ের টেবিলে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। চিড় ধরা দলের মনোবল শক্ত করতে ঐক্যের ছবি তুলে ধরেন দুই নেতা। উল্লেখ্য, এদিন সকাল ১০টায় পঞ্জাবের সকল বিধায়ক এবং সাংসদদের পঞ্জাব ভবনে চায়ের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সিধুর কাছে এই আমন্ত্রণ বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌঁছায় দুই কার্যনির্বাহী সভাপতি কুলজিত সিং নাগরা এবং সঙ্গত সিং গিলজিয়ানের মাধ্যমে।
এদিন চা পানের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্জাবের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা হরিষ রাওয়াত। উল্লেখ্য, এই হরিষ রাওয়াতের উপরই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মা ভাঙানোর দায়িত্ব ছিল। সূত্রের খবর, সিধু এবং ক্যাপ্টেনের মধ্যকার বরফ গলানোয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন হরিশ রাওয়াত।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পঞ্জাবের কংগ্রেস ভবনে পৌঁছানোর অনেক আগেই সেখানে গিয়েছিলেন সিধু। তবে এদিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পঞ্জাব ভবনে ঢোকার সময় দশ মিনিটের জন্যে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন সিধু। পরে অবশ্য তিনি ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। জোড় হাত করে তিনি নমস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
Be the first to comment