আগামী ২৫ জুলাই তিনি নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন। মিশন ২০২৪ সামনে রেখে জোট প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। তার জন্য প্রথমসারিতে রেখেছেন প্রশান্ত কিশোর–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর যদি রাজ্যসভায় মুকুল রায়কে পাঠানো হয়, তাহলে বৃত্তটি সম্পূর্ণ হবে।
অতীতে কয়েক দশক সাংসদ থেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নয়াদিল্লিতে পা রাখার আগেই যেন মাস্টারস্ট্রোক। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কেরিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তিনি সাতবারের সাংসদ এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিশাল। সেটা সংসদীয় হোক বা পরিষদীয়। চলতি সপ্তাহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লি যাচ্ছেন, তার আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় বার্তা দেওয়ার কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লিতে গিয়ে সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন–সহ সব সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রীকে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। দলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বাকি বিরোধী দলগুলিকেও তৃণমূল কংগ্রেস বড় বার্তা দিতে চাইল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment