মধ্যরাতে কেষ্টপুরে বিধ্বংসী আগুন। আর তার জেরে ভস্মীভূত হয়ে গেল ৩১টি অস্থায়ী দোকান। পর পর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিমেষে ছড়াল আগুনের লেলিহান শিখা। এই বিস্ফোরণে ঘুম ভাঙে কেষ্টপুরের শতরূপা পল্লীর বাসিন্দাদের। তখন দেখেন, দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
তবে রাত পেরলেও সকালেও ঝুপড়ির নানা জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। রাতে আগুন নেভাতে এসে দুই দমকলকর্মীর হাত ঝলসে যায়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত হয়েছেন দমকলের দুইজন কর্মী এবং ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ঝুপড়িতে খাবারের দোকান, সাইকেলের গ্যারেজ–সহ নানা দোকানপাট রয়েছে। তবে ওই ঝুপড়িতে মানুষের বাসও আছে। গভীর রাতে আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বাসিন্দারা। কোনও একটি খাবারের দোকানে সিলিন্ডার ফেটেই ওই শব্দ শোনা গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। এরপরই গোটা ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মোট ১৫টি ইঞ্জিন পাঠানো হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। পাঠানো হয় রোবটও। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক অনুমান সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরেই আগুন লাগে।
এখানে ৫০টি ঝুপড়ি ছিল এই শতরূপা পল্লীতে। আগুনে গ্রাসে তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া এখানের দোকানপাটও জ্বলে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে মৃতের কোনও খবর নেই। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের দোকান ছিল। সব পুড়ে গিয়েছে। আমি বলেছি তালিকা তৈরি করে দিতে। তবে কেউ হতাহত হননি। সিলিন্ডার ফেটেছে। তবে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে পারত।’
Be the first to comment