একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। আর ঠিক তারপরই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে আইপ্যাক–এর টিমকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীদের ত্রিপুরা পাঠানো হয়। কিন্তু আবার আক্রমণ নেমে এলো। বেআইনিভাবে তাঁদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠল।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ত্রিপুরার পুলিশ রবিবার রাতেই আটক করে তাঁদের। আর আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে আটকে রেখেছে আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে সমীক্ষার কাজে ত্রিপুরায় গিয়েছিল আইপ্যাকের ২৩ জনের প্রতিনিধিদল। সেখানে গিয়ে একটি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। রবিবার বেশি রাতে হঠাৎ হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। তারপর তাঁদের জোর করে আটকে রাখা হয়। নথি ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোটেলেই থাকতে বলা হয়। কেন এই ব্যবস্থা? পুলিসের পালটা যুক্তি, অতিমারির কারণে এই নজরদারি।
I-PAC এর অভিযোগ এসে পৌঁছে গিয়েছে এ রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। এবার দেশজুড়ে একুশে জুলাই পালন করেছে তৃণমূল। সেদিনও ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের কাছে একই ধরনের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, ত্রিপুরাতে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি বানচাল করেছে বিপ্লব দেবের সরকার। এবার I-PAC-এর প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছেন তাঁরা।
ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং জানান, কালীঘাটের দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে আশিসবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমন করতে চাইছে।’ আগামী অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা কলকাতায় আসছেন। এখান থেকে রণনীতি জেনে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা। পিকে–র টিমকে হেনস্থার ঘটনায় ত্রিপুরা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভার ভোট। হাতে প্রায় দু’বছর। বাংলার মতো সেখানেও তৃণমূলের হয়ে কাজ শুরু করতে চাইছে আইপ্যাক। বাংলায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮ আসন জেতার পর প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয় তৃণমূলের। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের মতো ত্রিপুরায় বামেদের সরিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের দ্বিমুখী লড়াইয়ের জমি তৈরি করবে আইপ্যাক।
Be the first to comment