নয়াদিল্লিতে উপস্থিত হয়েই তিনি দলীয় সাংসদদের বলেছিলেন, উপস্থিতির হার বাড়াতে। এবার থেকে প্রত্যেক দিন সব সাংসদকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। এমনকী অসুস্থ না হয়ে পড়লে তার অনুপস্থিত থাকা যাবে না। এদিন দলীয় সাংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে এই নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সমস্ত বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় রাখা চাই মসৃণ। যাতে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত সরকার নিতে না পারে।
এদিকে ফোনে আড়িপাতা ইস্যুতে গত একসপ্তাহে সংসদের বাদল অধিবেশন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত বিষয় নিয়ে সুর চড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত ফোনে আড়িপাতা ইস্যুতে সংসদের দুটি কক্ষেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চেয়ে অধিবেশন গরম করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাংসদদের কাজের খতিয়ান করে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। সেই রিপোর্ট দিতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মঙ্গলবার লোকসভা–রাজ্যসভা দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায়। বিরোধীদের শোরগোলে মুলতুবি করে দিতে হয়। এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় অভিষেকের। তখন আসনে ছিলেন না স্পিকার ওম বিড়লা। পরে তিনি অভিষেককে ডেকে পাঠান নিজের চেম্বারে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করার জন্যই তাঁকে ডেকেছিলেন স্পিকার।
তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্র অধিবেশনের বাকি মেয়াদে রোজ উত্তপ্ত অধিবেশনের মধ্যেই দু’টি করে বিল পাশ করাবে। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনে আড়িপাতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় রাজি হচ্ছেন এবং বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, ততক্ষণ কোনও সহযোগিতার প্রশ্নই উঠছে না।
পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের সাসপেনশনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজও জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই রয়েছে তারা। এবার আরও আক্রমণাত্মক হবে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের অন্দরে।
Be the first to comment