আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর কী দেশ বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখবে? উত্তরটা খুব কঠিন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা তাই চান। বুধবার সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লিতে এই বৈঠক শেষে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা চাই বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হয়ে উঠুন তিনিই। ২০২৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চাই।’ তারপর থেকেই এই প্রশ্ন রাজধানীর অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিন নয়াদিল্লিতে, ৭ নম্বর মহাদেব রোডে দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে দলের রণনীতি কি হবে, তা নিয়ে দলীয় সাংসদদের পথ বাতলে দেন তিনি। এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার ২২ জন সাংসদ এবং রাজ্যসভার ১০ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। পেগাসাস ইস্যুতে সুর চড়ানোর কথা উঠে আসে বৈঠকে। সাংসদদের পেট্রোপণ্যের মূল্য নিয়েও লাগাতার সরকারের জবাব চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকী মানুষের স্বার্থের বিরোধী সিদ্ধান্ত সরকার নিলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মমতার স্পষ্ট নির্দেশ, সংসদে আরও সক্রিয় হতে হবে সাংসদদের। উপস্থিতি একশো শতাংশ রাখতে হবে। প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ার এবং বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে হবে। আজ বিকেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে সোনিয়া গান্ধীর। এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিরোধী দল থেকে শাসক বিজেপি সকলেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এদিন দেখা করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। তবে দলের নেতাদের পক্ষ থেকে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রজেক্ট করা শুরু হয়েছে বলে বোঝা গেল কল্যাণের মন্তব্যেই।
Be the first to comment