কিছুদিন আগেই রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। মধ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আরেক তারকা বিজেপি নেতা অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বরাবরই ‘ভাষা সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে তিনি। টালিগঞ্জের জন্য কিছু করার লক্ষ্য নিয়েও রাজনীতিতে এসেছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ দেয়নি গেরুয়া শিবির। নামের আগে ‘বিজেপি নেতা’ শব্দটি তাই আর বেশিদিন ব্যবহার করতে চান না, স্পষ্ট জানিয়েছেন অনিন্দ্যপুলক।
একুশের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্য গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকারা ‘গায়েব’, এমনই কটাক্ষ ছুঁড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু অনিন্দ্যর বিজেপিতে যোগদান করেন প্রায় ৩ বছর আগে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই অভিনেতার গলায় কেন হঠাৎ বিজেপি বিরোধী সুর? এই প্রসঙ্গে অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘টালিগঞ্জের বেশ কিছু সমস্যা, অন্যায় চোখের সামনে ঘটতে দেখেছিলাম। ভেবেছিলাম প্রতিবাদ করার, লড়াই করার জায়গা দেবে বিজেপি। তাই গেরুয়া শিবিরে পা বাড়ানো। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ্য করার পর অনুভব করলাম বিজেপি আমাদের লড়াই করার কোনও সুযোগই দেয়নি।
অনিন্দ্য আরও জানান, মদন মিত্র সহ অন্যান্যদের গ্রেফাতরির সমালোচনা করেছিলাম বলে শমীক, সায়ন্তন আমাদের বিরোধিতা করেছিলেন। এটা বোধহয় বুঝতে ভুল করছেন যে তাঁদের যত বেশি লোকে চেনেন আমাদের পরিচিতিটা তার থেকে বেশি।’ এখানেই শেষ নয়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই অভিনেতা। একুশের নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্য নিয়ে তুলকালাম হয়েছিল। শিল্পীদের উদ্দেশে করা এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব অনিন্দ্য। তিনি বলেন, ‘আমি বরাবর ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। দিলীপ ঘোষের মতো একজন নেতা যদি রগড়ে দেব বলেন, সেক্ষেত্রে নীচু তলার কর্মীরা তা শুনে আরও খারাপ কথা বলতে পারেন। বিজেপি আসলে বাংলাকে বোঝার চেষ্টাই করেনি। বিহার, উত্তরপ্রদেশে যেভাবে রাজনীতি করেছে, একই রাজনীতি বাংলায় করলে তা রাজ্যবাসী গ্রহণ করবে না।’
Be the first to comment