ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, নিহত নাবালিকার পরিবারের পাশে রাহুল গান্ধী

Spread the love

দিল্লিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ‘ঘটনা’য় বুধবার মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই বালিকার বয়স ৯ বছর ৷ বাড়ি দিল্লির নঙ্গল রাই এলাকায় ৷ এদিন সকালেই সেখানে পৌঁছে যান রাহুল ৷ কথা বলেন মৃতার অভিভাবকদের সঙ্গে ৷ দেন সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ৷

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, ‘‘আমি মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ ওঁরা শুধু সুবিচার চান ৷ তার বেশি কিছুই চাই না ওঁদের ৷ কিন্তু ওঁদের আশঙ্কা, ওঁরা হয়ত সেটা পাবেন না ৷ তাই ওঁরা সাহায্য চান ৷ আমরা সেটা করব ৷ আমি বলেছি, আমি ওঁদের সঙ্গে থাকব ৷ যত দিন পর্যন্ত ওঁরা সুবিচার না পাচ্ছেন, ততদিন রাহুল গান্ধী ওঁদের সঙ্গে থাকবে ৷’’ প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার গলাতেও ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধি মৃতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ৷ কোনও রাজনীতি করতে যাননি ৷

তবে কংগ্রেস নেতা যাই বলুন, তাতে রাজনীতির অবকাশ বন্ধ হয়ে যায় না ৷ যেমন এদিন মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় রাহুল গান্ধিকে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদেরই একাংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, এই এলাকার যিনি কাউন্সিলর, তিনিও কংগ্রেসেরই সদস্য ৷ কিন্তু ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি কেটে গেলেও মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় পাননি তিনি।

এদিকে, দিল্লির এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় শ্মশানের পুরোহিত পণ্ডিত রাধেশ্যামকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ৷ ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম) প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্তের শরীর এবং বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় (বায়োলজিক্যাল) নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ রাধেশ্য়ামের দাবি, শ্মশানের ওয়াটার কুলার থেকে জল নেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৯ বছরের বালিকার ৷ তাঁর সেই দাবি আদৌ সত্যি কিনা, তা যাচাই করে দেখতে ওয়াটার কুলারটি পরীক্ষা করে দেখছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷ সেই রিপোর্ট হাতে এলে তদন্তে সুবিধা হবে ৷ এছাড়া, ওই নাবালিকার দেহাবশেষের ময়নাতদন্তও করা হয়েছে ৷ তবে দেহের অধিকাংশ অংশই পুড়ে যাওয়ায় মেয়েটির মৃত্য়ুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না চিকিৎসকরা ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*