প্রয়াত মোহনবাগান সভাপতি স্বপনসাধন বোসের স্ত্রী শম্পা বোস। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন শম্পাদেবী। দুবাইয়ে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা চলছিল। বুধবার দুবাই থেকে কলকাতা আসার পথে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন শম্পাদেবী। এয়ারপোর্ট থেকেই তাঁকে তড়িঘড়ি বেলভিউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শম্পাদেবীর জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ জুন। মায়ের নাম সুভদ্রা শ্রীমানী। বাবা দীপ্তি নারায়ণ শ্রীমানী। তিনি রেখে গেলেন দুই ছেলে, পুত্রবধূ, দুই নাতি এবং এক নাতনিকে। তাঁর প্রয়াণে বসু পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হাসপাতালে গিয়ে শোকপ্রকাশ করে আসেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
নবান্ন, ৩২৫ শরৎ চ্যাটার্জি রোড, হাওড়া ৭১১১০২
স্মারক সংখ্যা: ১০০/আইসিএ/এনবি
তারিখ: ৪/৮/২০২১
মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা
বিশিষ্ট সমাজসেবী শম্পা বসুর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, বিশিষ্ট ক্রীড়াপ্রশাসক স্বপনসাধন বসু (টুটু)-র স্ত্রী ও সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৃঞ্জয় বসুর মা শম্পা দেবী বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংস্থা ও জনহিতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল।
তাঁর প্রয়াণে জনজীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হল।
আমি স্বপনসাধন বসু, সৃঞ্জয় বসু সহ শম্পা বসুর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন লিখিত শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী শম্পাদেবীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান,” শম্পা দেবী বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংস্থা ও জনহিতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে জনজীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হল।” স্বপনসাধন বোস, সৃঞ্জয় বোস-সহ শম্পা বোসের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment