দিনভর টানাপোড়েনের পর জামিনে মুক্ত ধৃত ১৪ তৃণমূল নেতা

Spread the love

অবশেষে জামিন পেলেন ত্রিপুরায় ধৃত ১৪ জন তৃণমূল নেতা। রবিবার বিকেলে খোয়াই সিজেএম আদালত ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ধৃতদের জামিনের নির্দেশ দেন। আদালত থেকে ফেরার পথে বিজেপির তরফে ফের আক্রমণ করা হতে পারে বলেই আশঙ্কা তৃণমূলের।

এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ত্রিপুরায় কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। মানুষ CPIM-কে সরিয়ে অনেক আশা নিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু এই সরকার ত্রিপুরাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।’ পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিপ্লববাবুর শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে।’ অভিষেকের হুংকার, ‘বিজেপিকে কী ভাবে হারাতে হয়, তৃণমূল কংগ্রেস তা ভালোভাবে জানে। দেড় বছরে বিজেপিকে উৎখাত করব।’

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, ‘ত্রিপুরা কি মঙ্গলগ্রহ নাকি? নাকি এটা বিজেপির পৈত্রিক সম্পত্তি? ভারতবর্ষের আইন তো এখানেও প্রযোজ্য। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যখন পাথর ছুঁড়ছে, লাঠি-রড নিয়ে গাড়িতে হামলা করেছ, তখন পুলিশ চোখে পট্টি বেঁধে রয়েছে। আমাদের আহত কর্মীদের নূণ্যতম চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় মহামারী আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ তৃণমূলের ১৪ জন নেতা। রবিবার তাঁদের আদলতে পেশ করা হলে জামিন মঞ্জুর হয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে যারা আঘাত পেয়েছেন তাঁদের দ্রুত কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

AITC Official Update

This is to inform all that bail has been granted to all Trinamool Congress workers who were arrested in Tripura. Satyameva Jayate!

All India Trinamool Congress National General Secretary, Shri Abhishek Banerjee, will now be taking all injured workers and supporters back to Kolkata on an urgent basis. They have sustained injuries and require medical attention.

Following the attack meted out against the workers, no medical help was extended for nearly 24 hours. Amid this ongoing crisis, they will now be brought to Kolkata for necessary treatment and care.

Warm regards,
AITC Media Team

প্রসঙ্গত, জমি শক্ত করতে ত্রিপুরায় মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শনিবার দুপুরে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময়  তৃণমূলের যুবনেতৃত্বকে রাস্তায় আটকানো হয়। সেখানে দেবাংশু, সুদীপ ও জয়া দত্তদের উপর উপর হামলা চলে। মাথা ফেটে যায় সুদীপ রাহার, কানে আঘাত পান জয়া দত্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রবিবার ভোরে তাঁদের মহামারী আইনে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রবিবার বেলা দশটা নাগাদ থানায় পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গ রীতিমতো বচসায় জড়ান তিনি। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ধৃতদের মুক্তির দাবি ওঠে। তবে পুলিশ জানায়,  দেবাংশু-সুদীপ-জয়াদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। এরপর খোয়াই আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের। সেখানেই ১৪ জন ধৃতকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন বিচারকরা। 

আইনজীবী জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে তেলিয়ামূড়া থানায় যে মামলা হয়েছিল, সেটিতে জামিন দিয়েছে আদালত। তবে আম্বাসা থানার মামলাটিকে গুরুত্বই দেননি বিচারক। জামিন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, জামিন দেওয়া হলেও ধৃতদের ছাড়ার যে প্রক্রিয়া তাতে ইচ্ছাকৃত দেরি করা হচ্ছে। তৃণমূলের মূখপাত্রের আশঙ্কা, ফেরার পথে ফের বিজেপি হামলা করতে পারে তাঁদের উপর। কুণাল ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি যে রাস্তায় বিজেপি লোক জড়ো করেছে। ফের হামলা করা হতে পারে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*