ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের নির্দেশে সবটাই হয়েছে ৷ এটা আমি বিশ্বাস করি ৷ তা না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এত সাহস হত না ৷’’
সোমবার মমতা এই কথাগুলি বলেছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে ৷ তিনি তার কিছুক্ষণ আগেই ছিলেন ওই হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ৷ সেখানে ভর্তি তৃণমূল কংগ্রেসের দুই ছাত্র নেতা সুদীপ রায় ও জয়া দত্ত ৷ তাঁদের দেখতেই এসএসকেএমের ওই ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন মমতা ৷
সুদীপ-জয়া ও তৃণমূলের আরেক নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজন গত শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ৷ তার পর তাঁদেরই গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ ৷ রবিবার সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতারা যান ৷ আইনি লড়াইয়ের শেষে জামিন পান তৃণমূলের নেতা ৷ রাতেই বিশেষ বিমানে তাঁদের কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয় ৷
সুদীপ ও জয়ার আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁদের ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ তাঁদের উপর হামলার প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, ‘‘এদের যেভাবে মারধর করা হয়েছে ৷ পাথর মারা হয়েছে ৷ গুলি চালানো হয়েছে ৷ গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৷ মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ জয়ার কান ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ সুদীপের মাথায় আঘাত লেগেছে ৷ পুলিশের সামনেই মারধর করা হয়েছে ৷’’
আহত নেতা-নেত্রীদের ৩৬ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা করতে দেওয়া হয়নি, ৩৬ ঘণ্টা পানীয় জল দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তাঁর দাবি, ‘‘ওরাই মারল, ওরাই গ্রেফতার করল ৷ বিজেপি ত্রিপুরা-সহ সব রাজ্যে দানবীয় দল চালাচ্ছে ৷ আমাদের কোথাও যেতে দেওয়া না ৷ অসমে এনআরসির (NRC) সময় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ হাথরসের সময়ও তৃণমূলের সংসদীয় দলকেও যেতে দেওয়া হয়নি ৷’’
কয়েকদিন আগে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর কনভয়ে হামলা হয় ৷ এদিন সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন মমতা ৷ অভিষেকের জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ আর পুরোটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷ তাই বিজেপির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে এবং ত্রিপুরার মানুষকে গর্জে ওঠার আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
Be the first to comment