কোভিশিল্ড টিকার নয়া ডোজ এসেছিল রবিবার। তবে নয়া ডোজ এলেও মেটানো যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের চাহিদা। টিকা পেতে বহু জায়গায় ছুটতে হচ্ছে মানুষজনকে। পুরসভার কেন্দ্রে টিকার আকালের জেরে নাজেহাল হতে হচ্ছে কলকাতাবাসীকে। তবে মঙ্গলবার পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
তবে বুধবার কোভিশিল্ড দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা জানাতে পারেননি কলকাতার পুরপ্রশাসক। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ১১ অগস্ট রাজ্যে কোভিশিল্ড আসতে পারে। যদি ১১ তারিখ রাজ্যে কোভিশিল্ড আসে, তবে ফের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তবে মঙ্গলবার সকালে পুরসভার তরফে নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেওয় হয় যে বুধবার থেকে কোভিশিল্ড টিকাকরণ মিলবে না।
এর আগে কোভিশিল্ড না থাকায় শুক্রবার থেকে বন্ধ ছিল কোভিশিল্ড টিকাকরণ। তবে নতুন ডোজ এসে পৌঁছাতেই মঙ্গলবার ফের কোভিশিল্ড দেওয়া হবে বলে জানান কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পরে বুধবার থেকে ফের আকাল দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ফিরহাদ জানিয়েছেন, ১১ অগস্ট ফের রাজ্যে কোভিশিল্ড আসার কথা। তা যদি না আসে, তাহলে কোভিশিল্ড টিকাকরণ ফের বন্ধ করতে হবে।
তবে কেন্দ্রের তুঘলকি আচরণের জন্যই রাজ্যবাসীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়ার পরেও কোন হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার মানুষ ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্র ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না। বাংলার মানুষ আশায় আছে, কবে রাজ্যে ভ্যাকসিন আসবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জন্য রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন মানুষকে সাহায্য করতে পারছে না। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশকে যথেচ্ছভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তাহলে বাংলায় কেন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না?’
Be the first to comment