পেগাসাস নিয়ে যখন প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত সংসদ, তখন সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল এই সংক্রান্ত শুনানি ৷ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হল ৷ তিন বিচারপতির মধ্যে একজন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা ৷
ইজরায়েলে তৈরি সফটওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে কি দেশের রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পেতেছে কেন্দ্রীয় সরকার ? আপাতত এটাই ভারতবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৷
তাই এই নিয়ে সত্য সামনে আনতে আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হওয়া উচিত বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে ৷ সেই দাবিতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয় ৷ যে মামলার শুনানি শুরু হল মঙ্গলবার ৷ উল্লেখ্য, সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত এই মামলার শুনানি করতে সম্মতি জানায় ৷ তখন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা মামলাকারী ও সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে হুঁশিয়ারি দেন যে কেউ যেন নিজেদের সীমা লঙ্ঘন না করেন৷ পাশাপাশি তিনি জানান, প্রত্যেককেই নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ পাবেন ৷
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে মামলাকারীদের জানানো হয় যে যাঁরা এই বিষয়ে আগ্রহী এবং নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে চান, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ৷ আর নিজেদের প্রশ্ন সুষ্ঠু একটি আলোচনার মাধ্যমে তুলতে হবে এবং বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করতে হবে ৷ এই ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলা উচিত।
পেগাসাস নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে শুনানি করবে, তা লাইভ ওয়েবকাস্ট করানোর দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পেন ফর জুডিসিয়াল অ্যাকাউন্টাবিলিটি অ্যান্ড রিফর্ম বা সিজেএআর এবং দ্য ন্যাশনাল ক্যাম্পেন ফর পিপলস রাইট টু ইনফরমেশন বা এনসিপিআরআই (NCPRI) ৷ তারা এই দাবিতে চিঠিও লিখেছে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে ৷
এদিকে মঙ্গলবারও পেগাসাস ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ ৷ লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখান৷ সংসদে এই নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন ৷ সরকার-পক্ষ অবশ্য এই নিয়ে আলোচনায় কোনও সম্মতি জানায়নি ৷
Be the first to comment